গতকালই হাসপাতাল থেকে মাকে নিয়ে ফিরেছে দিশা। আজ একটু বেরিয়েছে। ইস্ট রিভারের গা ঘেঁষে রেলিং এ হেলান দিয়ে দাঁড়ায়। কিছুটা উদভ্রান্ত, ক্লান্ত। দূরে এক ঠায় তাকিয়ে থাকে। চোখ দুটো যেনো কিছুই দেখছে না। ফোন বেজেই চলে কিছুই শোনে না সে। সম্মুখে গোটা ম্যানহাটান, সরব। প্রাণের চাঞ্চল্য। লড়াই জীবনের। থেমে নেই কিছু চলছে তো চলছেই, আকাশে ও পাতালে। দিশাও চলতে চায় সম্মুখে ভেঙেচুরে সব বাঁধ। কিন্তু ওর হৃদয় ভাঙ্গে যখন থমকে যায় সব। ভেতরটা কুঁকড়ে আসে। খান খান হয়ে যায়। এমন দানব বাবা না যেন হয় কারো। মা শুরু থেকেই মুখে তালা দিয়েছিল, সমাজের চাপে লাথি গুঁতা খেয়েও কামড়ে ছিল সংসার। মেয়ে মার খাচ্ছে দেখেও রা নেই মুখে। রা করলেই বিপদ নিস্তার নেই তারও। স্বামীর পাষ- রূপ তার চেয়ে বেশি কে জানে। ঘর ছেড়ে পালাবে বহুবার ভেবেছে, ভাবনাই সই পারেনি মুক্ত হতে। মুরুব্বিরা বলেই চলেছে সংসার করা এত সহজ না। মেয়ে মানুষের জীবনে সংসারই আসল ঠিকানা!