ছবি: সংগৃহীত
জালিয়াতি ঠেকাতে বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অভিবাসন আবেদন কর্মসূচিটি খুব শিগগিরই আবার চালু করতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। হাজার হাজার সন্দেহজনক আবেদন এখনো ঝুলে থাকার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে দুটি সূত্র মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছে।
বাইডেন প্রশাসন গত মাসে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যবস্থাটি ‘সাময়িকভাবে বন্ধ’ করা হয়েছিল। বন্ধ হওয়ার আগে সেটি ১৮ মাস ধরে চালু ছিল।
এদিকে ডিএইচএসের এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথাকথিত ৩,২১৮টি সিরিয়াল স্পন্সর কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইউক্রেনের অভিবাসীদের ১০১,০০০টি স্পন্সর আবেদন করেছে। এসব আবেদনের সূত্র ধরে ঠিক কত ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, ওই তথ্য ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস দিতে পারেনি।
প্রতিবেদনটিতে জালিয়াতির হাজার হাজার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। সেগুলো সমাধান ছাড়াই ব্যবস্থাটি আবার চালু করা হচ্ছে। জালিয়াতির বিভিন্ন উদাহরণে দেখা গেছে, স্পন্সররা নানা ব্যক্তির জন্য একই রাস্তার ঠিকানা, একই ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস বা ফোন নম্বর ব্যবহার করেছেন। এমনকি প্রায় ৬০০ ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তারা ফ্লোরিডার ওহাইয়োর একই বাণিজ্যিক গুদামের ঠিকানা ব্যবহার করেছে। এছাড়া মৃত ব্যক্তির সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর অনেকবার ব্যবহার হওয়ার ঘটনাও দেখা গেছে।
এ ধরনের প্রতারণা করে মানব পাচার হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে আসা অভিবাসীদের অবৈধভাবে আগমন কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রশাসন ওই ব্যবস্থাটি আবার চালু করতে চাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে ডিএইচএস ওই কর্মসূচির আওতায় আবেদন করা ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরেক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে ২৬ লাখের বেশি অভিবাসী ওই কর্মসূচির আওতায় আবেদন করেছে। ইউক্রেনের জন্যও একই ধরনের কর্মসূচি রয়েছে।