ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল ২৩ বছর আগে। এত বছর পরও ওই হামলার শিকার ৪০ শতাংশ লোকের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। ডিএনএ না মেলায় অসহায় পরিবারগুলো তাদের প্রিয় স্বজনদের সন্ধান পাচ্ছে না।
অনেক এত বছর পরও তাদের স্বজনদের সন্ধানে অপেক্ষা করছে। অনেকে আবার হাল ছেড়ে দিয়েছেন। এমনই একজন হলেন চার্লস জি ওলফ। তিনি বলেন, তার মনে হয় না যে তার স্ত্রী ক্যাথেরিনের লাশ তিনি পাবেন।
তিনি বলেন, তার স্ত্রী ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারের ৯৭তম তলায় কাজ করতেন। ৯/১১-এর হামলাটি হওয়ার ঠিক আগ দিয়ে তিনি সেখানে প্রবেশ করেছিলেন।
অবশ্য নিউইয়র্ক সিটির মেডিক্যাল এক্সামিনার্স অফিস এখনো তাদের সন্ধান করে যাচ্ছে। তারা দারুণ কিছু সাফল্যও পাওয়ার আশা করছে। প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির রেশ ধরে গত বছরই তারা ৩৭ জন নতুন ডিএনএ প্রফাইল তৈরী করেছে। অবশ্য, হারানো স্বজনদের সাথে এখনো কোনো ডিএনএর মিল পাওয়া যায়নি।
ওসিএমইর সহকারী পরিচালক মার্ক ডিজায়ার বলেন, ‘এটি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফরেনসিক অনুসন্ধানই নয়, একইসাথে সবচেয়ে কঠিন কাজও।’
এখনো প্রায় সাত হাজার লোকের দেহাবশেষ প্রায় দুই দশক ধরে রাখা আছে। তবে কারো দেহই পুরোপুরিভাবে সংরক্ষিত নেই। কারো দেহের মাত্র হাতের আঙুলের সামান্য অংশও রয়েছে। এখান থেকেই ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা চলছে।
ডিজায়ার বলেন, টুকরা টুকরা হওয়া, বিমানের জ্বালানি, আগুন, পানি, ব্যাকটেরিয়া, সূর্যের আলো- সবকিছু মিলে ডিএনএ ধ্বংস করেছে। সবকিছুই গ্রাউন্ড জিরোতে উপস্থিত ছিল।
ওলফ বলেন, তিনি মনে করেন যে ১১০৩ জন শনাক্ত না হওয়ার মধ্য থেকে তার স্ত্রীকে শনাক্ত করা যাবে।
তবে তিনি তার স্ত্রীর হেয়ারব্রাশসহ বেশ কিছু সামগ্রী সংগ্রহ করে ওসিএমইকে দিয়েছেন। এগুলো দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কতটুকু সফল হওয়া সম্ভব হবে, তা কেউ বলতে পারছে না।
ব্যর্থতার পাশাপাশি অনুসন্ধানকারীদের সফলতাও কিন্তু কম নয়। কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ১,৬৫০ জনের লাশ শনাক্ত করা গেছে ডিএনএর সাথে মিলিয়ে। গত বছরও দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।