ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ গত বুধবার তার বেঞ্চমার্ক সুদ হার অর্ধেক পয়েন্ট কমিয়েছে। চার বছরের মধ্যে এই প্রথম ফেড অব্যাহত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধারার জন্য সুদের হার কমাল। এর মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজেদের জয়ী ঘোষণা করতে যাচ্ছে ফেড।
ফেড চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি সার্বিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। গত দুই বছরে আমরা আমাদের লক্ষ্য হাসিলে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হাসিল করেছি।’
তিনি বলেন, আগের উত্তপ্ত অবস্থা থেকে এখন শ্রমবাজার বেশ ঠান্ডা হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি একপর্যায়ে ৭ শতাংশে ওঠে গিয়েছিল। তা এখন কমে ২.২ শতাংশে নেমে এসেছে।
পাওয়েল বলেন, ফেড সর্বোচ্চ সংখ্যক চাকরির ব্যবস্থা করা এবং সুদের হার ২ শতাংশে রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। আর এখন পর্যন্ত যে সাফল্য আসছে, তাতে আমরা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সূচকে দেখা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম দৃঢ়গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বেকারত্বের হার অনেক কম রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতিও অনেক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ফেডারলে নীতি নির্ধারকেরা ২০২৫ সালে চারবার এবং ২০২৬ সালে দুবার সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছেন।
যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, মুদ্রাস্ফীতি এখন বেশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে অনেক আমেরিকান এখনো মুদিসামগ্রী, গ্যাস, ভাড়া এবং অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার জন্য বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনকে দায়ী করছেন। ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্রেতাদের আরো স্বস্তি দিতে তিনি সকল আমদানি পণ্যের ওপর কর কমিয়ে দেবেন।