ছবি: সংগৃহীত
শরণার্থীদের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেসব নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছেন, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিবাসন অধিকারকর্মীরা। তারা মানবিক সমাধান গ্রহণের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বাইডেন ৩০ সেপ্টেম্বর তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ সীমিত করেছেন। নতুন ব্যবস্থার ফলে টানা ২৮ দিন পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে অতিক্রমের সংখ্যা ১৫ শ’-এ সীমিত থাকবে। ১ অক্টোবর নতুন এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। এর ফলে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জড়ো হওয়া লোকদের প্রবেশ করার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। এমনকি অভিভাবকহীন শিশুরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে বাধাগ্রস্ত হবে।
বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মুরাদ আওয়ায়াদেহ বলেন, নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে থাকা নিজ দেশে নির্যাতনের শিকার অরক্ষিত লোকজনকে আশ্রয় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আইনগত ও নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই হালনাগাদ নির্বাহী আদেশ এর পরিপন্থী একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, আশ্রয় প্রার্থনার ওপর বিধিনিষেধ বাড়ানোর মাধ্যমে এই প্রশাসন আরো অনেক লোককে ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি সঙ্গহীন ছোট শিশুদেরকেও বিপদগ্রস্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তাদেরকেও আমাদের দেশে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
মুরাদ বলেন, এই নীতি মানবিক মূল্যবোধের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। অথচ এই মূল্যবোধ আমেরিকার ধারণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান, আশার আলো দেখানোর নীতি গ্রহণ করার বদলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের জীবন নতুন করে গড়ে তুলতে চাওয়া লোকজনের সামনে তার দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে। বাইডেন ও কংগ্রেসকে অবশ্যই নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন নীতি গ্রহণ করতে হবে।
তিনি প্রতিটি মানুষের আশ্রয় পাওয়ার জন্য মানবিক, সুষ্ঠু ও কার্যকর নীতি গ্রহণ করার দাবি জানান। সদ্য আগত লোকদের জরুরি সমস্যা যেমন সমাধান করতে হবে, একইভাবে দীর্ঘ দিন ধরে থাকা অভিবাসীদের প্রতিও সহানুভূতি প্রদর্শন করার ভারসাম্যপূর্ণ নীতি গ্রহণ করতে হবে।