বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

ভাড়াটেদের অর্ধেকই ব্যয়ভারে বেশ পর্যুদস্ত

ট্রাম্পের হাউসিং বাজারে প্রভাব ফেলবে?

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ৮ নভেম্বর ২০২৪

ট্রাম্পের হাউসিং বাজারে প্রভাব ফেলবে?

ছবি: সংগৃহীত

আবারো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসাথে তার দল রিপাবলিকান পার্টিও সিনেটে আবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এমনকি হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভও তাদের হাতে চলে আসতে পারে। হাউস ও সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির বিপুল জয় ট্রাম্পকে তার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যাপক স্বাধীনতা দেবে। বিশেষ করে হাউসিং মার্কেট আরো সাশ্রয়ী করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গতি সৃষ্টি করতে পারবেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বুধবার জয়ের আভাস পাওয়া মাত্র বলেন, ‘এটি এমন এক রাজনৈতিক জয়, যা আমাদের দেশ আগে কখনো দেখেনি।’ তিনি ‘আপনার ও আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য’ লড়াই করার ওয়াদাও করেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আপনাদের সুখী করতে যাচ্ছি। আপনার ভোটের জন্য আপনাকে খুবই গর্বিত করতে চাই। আমেরিকা আমাদেরকে একটি নজিরবিহীন ও শক্তিশালী রায় দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনার যে শক্তিশালী, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ আমেরিকা চান। এমন আমেরিকা আপনাদের পাওয়া উচিত। তা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।’
এবারের মার্কিন নির্বাচন হয়েছে হাউসিং সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে। ভাড়াটেদের অর্ধেকই ব্যয়ভাবে বেশ পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছেন। বাড়ির দাম অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখাই অনেকে বন্ধ করে দিয়েছেন।
ট্রাম্প এক নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, বাইডেন প্রশাসনের আমলে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ায় বাড়ির দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে মর্টগেজ রেট কমাবেন। 
ট্রাম্পের নীতিগুলো খতিয়ে দেখা যায়। এসব নীতির কারণে হাউসিং মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে।
অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে বহিষ্কার
ট্রাম্প এবং তার রানিং মেট জেডি ভ্যান্স বার বার দাবি করেছেন যে আমেরিকার হাউসিং মার্কেট নাগালের বাইরে যাওয়ার কারণ হলো অবৈধ অভিবাসন। অভিবাসীদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না আমেরিকান নাগরিকেরা।
ট্রাম্প ‘আমেরিকার ইতিহাসে অভিবাসী বহিষ্কারের বৃহত্তম অভিযান’ পরিচালনা করার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি মনে করেন, এতে করে হাউসিং মার্কেটে অনুকূল পরিবেশের সৃষ্টি হবে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এই অভিমতকে সমর্থন করেন না। তারা মনে করেন, অভিবাসীদের বহিষ্কার করলে কিছু বাড়ি খালি হবে। তবে তাদের বহিষ্কারের ফলে অর্থনীতির গতিশীলতা কমে যাবে। ফলে বাড়ি কেনার মতো সক্ষমতাও কমবে।
আইন শিথিল করা এবং ফেডারেল জায়গায় নির্মাণ
নতুন নতুন বাড়ি করার জন্য ট্রাম্প বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং ফেডারেল জায়গায় বাড়ি নির্মাণের অনুমতি প্রদানের কথা বলেছেন। এর ফলে বাড়ি নির্মাণে গতি আসবে, দামও কমে যাবে।
ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কের ইকোনমিক ক্লাবে বক্তৃতাকালে বলেছিলেন, আমরা বাড়ির খরচ কমাতে বিধিনিষেধ তুলে নেব। ফলে নতুন বাড়ি বানাতে খরচ হবে অর্ধেক। 
অবশ্য অনেকেই মনে করছেন, এতে খুব সুবিধা হবে না। কারণ বিধিনিষেধ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কারণে যে ব্যয় হয়, তা মোট খরচের মাত্র ৭.৪ ভাগ। ফলে বাড়ি নির্মাণে তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না। তবে খরচ যে কিছু হলেও কমবে, তা নিয়ে কারো সন্দেহ নেই।
সুদের হার কমানো
তবে ট্রাম্প মর্টগেজ রেট কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা কার্যকর হলে এর সুফল হাউসিং মার্কেটের ওপর পড়বে। মর্টগেজ রেট কমে গেলে বাড়ির ক্রেতারা প্রতি বছর কয়েক হাজার ডলার বাঁচাতে পারবে।
অবশ্য, বেশিভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির দাম বাড়ার অন্যতম কারণ হলো বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে কম। সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমবে।
 

শেয়ার করুন: