ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে একেবারে নতুন করে প্রশাসন বা ঘর সাজাচ্ছেন। তার চমকে অবশ্য বিরোধী পক্ষ মনে করছে, তিনি যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছেন, তাতে করে আমেরিকা বিপজ্জনক পথে ধাবিত হতে পারে।
ট্রাম্প তার নতুন পরম বন্ধু এলন মাস্ককে সরকারি দক্ষতা বিভাগ নামের একটি নতুন দফতর সৃষ্টি করে এর প্রধান করেছেন। টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক মাস্ক যে প্রতিভাধর ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এ লোকটি সরকারি বিধিবিধান মুছে ফেলে নিজের ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করতে পারেন বলেও শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। মাস্কের সাথে আছেন বিবেক রামস্বামী। আর তাতেই সন্দেহ আরো বেড়েছে। ট্রাম্পের প্রথম আমলেই স্বার্থের সঙ্ঘাত প্রশ্নটি ওঠেছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে এই শঙ্কা আরো বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
এর মধ্যে ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পিট হেগসেথের নাম ঘোষণা করেছেন। হেগসেথের যুদ্ধংদেহী মনোভাব নতুন কিছু নয়। তবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি দেশের একজন প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ সম্পর্কে যেসব অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ দরকার, সেগুলো কিন্তু তার নেই।
একই কথা প্রযোজ্য ক্রিস্টি নোয়েমের বেলাতেও। তিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি নিযুক্ত হয়েছেন। পুরো দেশকে নিরাপদ রাখা কিংবা সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে তার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তবে তিনি বছরের পর বছর ধরে ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ কর্মসূচিতে সুর চড়িয়েছেন।
আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কার্যক্রম ন্যস্ত হতে চলেছে ট্রাম্পের আরেক অনুগতের হাতে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জন র্যাটক্লিফ হতে যাচ্ছেন সিআইএর প্রধান। মনে রাখতে হবে, আগের দায়িত্ব পালনের সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য তিনি গোয়েন্দা সংস্থাটির শক্তি বাড়াচ্ছেন।
আর ইসরাইলে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ফক্স নিউজ হোস্ট এবং আরকানসাসের গভর্নর মাইক হাকাবিকে। একসময়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিন নামের কিছু নেই।’ তার এই নিয়োগের ফলে ফিলিস্তিনে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।