ছবি: সংগৃহীত
আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত পরিবারকে সহায়তা জন্য এক কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে আমেরিকান বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ‘আমেরিকা- বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই)’। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট, ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও, যুক্তরাষ্ট্রে মূলধারার রাজনীতিক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে গিয়ে এ অনুদান হস্তান্তর করবেন। গিয়াস আহমেদ জানিয়েছেন, জুলাই বিপ্লব ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শহীদদের পরিবারকে এ সহায়তা আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুদান একাউন্টে জমা দেয়া হবে।
জানা গেছে, ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই)’র ব্যানারে বিজনেস নেটওয়াকিং ডিনার অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অ্যামেরিকান বিজনেস অ্যাসেসিয়েশন, এফিবিসিআিই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দকে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকবেন। ২৩ ডিসেম্বর আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই)’র একটি লিঁয়াজো কমিটি গঠন করা হবে।
এবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ আরো বলেন, বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে অনেক মানুষ শহীদ ও আহত হয়েছেন। আমরা শহীদদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই সাথে যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ ও উন্নতমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আমাদের চেম্বারের পক্ষ থেকে এককালীন এক কোটি টাকা দিচ্ছি।
আশা করছি এই অর্থ জুলাই বিপ্লব ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শহীদদের পরিবারকে সহায়তার জন্য প্রদান করা হবে। গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই)’র ব্যানারে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানাবো। তিনি আমাদের অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকতে পারেন। তবে তাঁর সিডিউল চূড়ান্ত হওয়ার পর তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারবো।
আমরা তার সাথে দেখা করতে চাই। কথা বলতে চাই। তার কাছে আমরা এক কোটি টাকা দিতে চাই জুলাই ফাউন্ডেশনের জন্য। এছাড়াও আমেরিকায় অবস্থানরত ব্যবসায়ীরা দেশের জন্য আরো কীভাবে অবদান রাখতে পারেন সেই সব বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এখানকার ব্যবসায়ীরা দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন সেটিও আলোচনায় আনতে চাই। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও ব্যবসায়ীরা আমেরিকার সাথে আরো বাণিজ্য বাড়াতে পারেন। সব মিলিয়ে আমরা চাইছি দুই দেশের ব্যবসায়িরা যাতে দেশের জন্য আরো বেশি অবদান রাখতে পারেন। আমরা প্রবাসে থেকে আমাদের দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে আমেরিকান ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ, বাণিজ্য সম্পর্কসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্টবিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন।