ছবি: সংগৃহীত
স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক সম্পত্তি অর্জনের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। এখন ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ তার, বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে এত সম্পত্তি ছিল না আর কারো। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স এমনটিই জানিয়েছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সে বলা হয়েছে, ইলন মাস্কের সম্পদ বাড়ার মূল কারণ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের অভ্যন্তরীণ শেয়ার বিক্রি।
এর ফলে তার সম্পদে নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্পেসএক্সের মোট মূল্যমানও প্রায় সাড়ে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
মূলত টেসলার শেয়ারের মূল্য এবং স্পেসএক্সের ওপর ভিত্তি করে মাস্কের সম্পদ ওঠানামা করে।
তবে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর তার সম্পদে বেশ ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন নির্বাচনের পর থেকে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
সূচক অনুযায়ী, মাস্কের একদিনে ৬২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদের উল্লম্ফন হয়েছে। যেটিও নতুন এক রেকর্ড।
প্রথমবারের মতো তিনি বিশ্বের ধনী ৫০০ ব্যক্তির সম্মিলিত সম্পদকে ছাড়িয়ে গেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের স্টারশিপ রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। মাস্কের ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে সখ্যতা ইলন মাস্ককে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি কর অব্যাহতি সুবিধাও পেতে পারেন।
ধনকুবের ইলন মাস্ক ও মার্কিন উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামীকে সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিপার্টমেন্ট অব গভমেন্ট এফিসিয়েন্সি) দায়িত্বও দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।