শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

‘৩০ বছর আগে এ ধরনের চুরির কথা চিন্তা করতাম না’

আমেরিকায় বেড়েছে ছিঁচকে চুরি 

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:২৯, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

আমেরিকায় বেড়েছে ছিঁচকে চুরি 

ছবি: সংগৃহীত

করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে ২০২৩ সালে ছিঁচকে চুরি বেড়েছে ৯৩ শতাংশ, আর আর্থিক ক্ষতির দিক থেকে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রিটেইল ট্রেড গ্রুপ ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন (এনআরএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।
‘ইমপ্যাক্ট অব রিটেইল থেফট অ্যান্ড ভায়োলেশন ২০২৪’ শীর্ষক সমীক্ষায় এনআরএফ বিষয়টির ভয়াবহতা প্রকাশ করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এ ধরনের অপরাধ দমনের জন্য খুচরা বিক্রেতাদের অব্যাহত প্রয়াস এবং আরো বেশি বেশি রাজ্য এই অপরাধ দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও দোকানপাটে খুচরা চুরি বাড়ছেই। 

ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, লস প্রিভেনশন রিসার্চ কাউন্সিলের সাথে অংশীদারিত্ব সত্ত্বেও আগের বছরের চেয়ে ২০২৩ সালে ওই অপরাধ ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
এনআরএফের অ্যাসেট প্রটেকশন অ্যান্ড রিটেইল অপারেশন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিন জনস্টন বলেন, ‘আমরা এ ধরনের পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত নই। ৩০ বছর আগে এ ধরনের চুরির কথা আমরা চিন্তা করতাম না। আর যারা চুরি করছে, তারা জানে যে এসব সামগ্রী তারা বাইরে বিক্রি করতে পারবে। এ কারণেই তারা কাজটি করছে।’
তিনি বলেন, চোরাই সামগ্রী বিক্রির জন্য সঙ্ঘবদ্ধ গ্রুপ রয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ১৭৭টি দোকানে চুরি হয়েছে। তবে কোনো কোনো খুচরা ব্যবসার ক্ষেত্রে সংখ্যাটি হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতারা বাঘ আসছে বলে অযথা চিৎকার করছে না।
তাছাড়া কেবল চুরিই হচ্ছে না, সেইসাথে সহিংসতাও বাড়ছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ খুচরা বিক্রেতা জানিয়েছেন, এক বছর আগের তুলনায় এখন চুরির সময় সহিংসতা বেশি হচ্ছে। প্রায় ৯১ শতাংশ জানিয়েছেন, অপরাধগুলো ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি সহিংস হচ্ছে, আগ্রাসনও বেশি দেখা যাচ্ছে।
এদিকে চুরি প্রতিরোধ করতে পণসামগ্রী তালাবদ্ধ করা ছাড়াও প্রায় ৭১ শতাংশ বিক্রেতা তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার বডি-ক্যামেরাও স্থাপন করছে।
জনস্টন বলেন, বর্তমানে ৪৮টি রাজ্যে চুরি প্রতিরোধে সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ দমন সমিতি রয়েছে।
 

শেয়ার করুন: