ছবি: সংগৃহীত
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) আতঙ্ক বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে। চীনা এই ভাইরাসটি এখন সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে মিসৌরি, কানসাস, নেব্রাস্কা ও আইওয়া রাজ্যে।
সিডিএ তথ্যে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ওই অঞ্চলে যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫.৪ শতাংশ এইচএমপিভি দেখা গেছে। আর বাকি যুক্তরাষ্ট্রের এই হার ১.৯ শতাংশ।
এইচএমপিভিকে অনেক চিকিৎসক ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই ভাইরাসটি চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত লোকজন হাসপাতালগুলো ভরে ফেলেছে।
তবে সংখ্যাটি নিয়ে অতিরঞ্জন করা হচ্ছে বলে চীন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, শীতকালে যে ধরনের ভাইরাসের বিস্তৃতি দেখা যায়, এবার তেমনই দেখা যাচ্ছে। এমনকি গত বছরের চেয়েও সংখ্যাটি কম বলে মনে হচ্ছে।
তবে অনেকে পরিস্থিতিকে ২০২৯ সালে কোভিডের প্রাদুর্ভাবের সাথে তুলনা করেছেন। ওই সময়ও এই ভাইরাসকে বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি চীন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছিলেন।
অনেকে বলছেন, এইচএমপিভি কার্যত কোভিডের চেয়ে অনেক মৃদু। আর এই ভাইরাসটি নতুন কিছু নয়। এটি কয়েক দশক ধরেই অস্তিত্বশীল ছিল। লোকজন ইতোমধ্যেই এটি প্রতিরোধ করার সক্ষমতা পেয়ে গেছে।
এইচএমপিভি প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ২০০১ সালে। এর সংক্রমণে কফ, জ্বর, সর্দির মতো সাধারণ ঠান্ডার উপসর্গ দেখা যায়। তবে আরো মারাত্মক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ব্রানকাইটিস, ব্রনকাইলিটিস, ও নিউমোনিয়া। অনেকে শ্বাস নিতেও সমস্যায় পড়েন।
সিডিসির হিসাব অনুযায়ী মিসৌরি, কানসাস, নেব্রাস্কা ও আইওয়া রাজ্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আক্রান্ত এলাকাগুলো হচ্ছে ইলিনয়স, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, মিশিগান, উইসকনসিন, মিনেসোটা। পরের পর্যায়ে রয়েছে কলোরোডা, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, উইয়োমিং, ক্যালিফোর্নিয়া, নেভেদা, অরিজোনা, উটাহ ও মনটানা।
পরের ধাপে রয়েছে মেইন, নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস, কানিকটিকাট ও নিউ জার্সি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর হাজার হাজার লোক এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে ইতোপূর্বে তাদের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হতো খুব কম লোকেরই।