ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। ফলে অনেক কিছুই বদলাবে। এই প্রেক্ষাপটে সুদের হারেও পরিবর্তন আসছে। ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানোর দিকে যাওয়া শুরু করেছেন।
কর্মকর্তারা গত ১৭-১৮ ডিসেম্বর এ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা জানা গেছে দুই সপ্তাহ পরে। এমনটাই অবশ্য নিয়ম। তবে সভার কার্যবিবরণী থেকে যা জানা যাচ্ছে, তা হলো এ নিয়ে তাদের মধ্যে বড় ধরনের বিভক্তি দেখা গেছে। ১৯ জন ফেডারেল নীতিনির্ধারকের মধ্যে অনেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান রেটটি অপরিবর্তিত রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সামান্য ব্যবধানে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তটিই গ্রহণ করা হয়েছে।
ফেডারেল কর্মকর্তারা কোয়ার্টার পয়েন্ট থেকে প্রায় ৪.৩ শতাংশ-নানা হারে সুদ কমানোর কথা ভাবছেন।
তবে সুদের হার কমানোর গতি বেশি না হলে বাড়ি, গাড়ি, ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঋণের ব্যয় বাড়তিই থাকবে।
সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, ফেড নীতিনির্ধারকদের প্রায় সবাই মুদ্রাস্ফীতি তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি থাকতে পারার ঝুঁকি অনুভব করছেন। তাদের মতে, বাণিজ্য ও অভিবাসননীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের কারণে মুদ্রাস্ফীতিতে এই প্রভাব পড়তে পারে।
তারা মনে করছেন যে নতুন প্রেসিডেন্টের আমলে বিভিন্ন ইস্যুতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ফলে সেগুলো অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয়। তারা মনে করছেন, নতুন বছরে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৪ সালের মতোই থাকবে।
আবার গোল্ডম্যান সাচসের অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ট্রাম্পের টেরিফ প্রস্তাবগুলোর ফলে চলতি বছরের শেষ দিকে মুদ্রাস্ফীতি অর্ধেক-শতাংশ বাড়তে পারে।
এদিকে ফেড গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার বলেছেন, তিনি এখনো চলতি বছর রেট কমানোর পক্ষে। তিনি মনে করছেন, টেরিফের ফলে মুদ্রাস্ফীতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনবে না।