
প্রতীকী ছবি
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) অ্যাজেন্টদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে সহায়তা না করার জন্য স্টাফদের সতর্ক করে দিয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির পাবলিক হাসপাতাল সিস্টেম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র কয়েক দিন আগে ১৬ জানুয়ারি ইস্যু করা একটি মেমোতে থাকা নির্দেশিকায় এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে স্কুল, চার্চ, হাসপাতাল ও শেল্টারসহ ‘স্পর্শকাতর স্থানগুলো’ ফেডারেল নির্দেশের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে।
রাজ্য সিনেটর জেলনুর মারি কিংস হাসপাতালের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা গত ুই সপ্তাহ ধরে খেছি যে এই প্রশাসন আমাদের আইন সমুন্নত রাখছে না। এটি ভয় ও বিশৃঙ্খলার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে লোকজন ভয় পেয়ে হাসপাতালে আসা এড়িয়ে যাচ্ছে।’
তিনি মেয়র এরিক অ্যাডামসকে ‘জ্বালাময়ী ও অপ্রয়োজনীয়’ হাসপাতাল নীতি বাতিল করার বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানান। মেয়র এবং অন্যান্য ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা ফেডারেল অ্যাজেন্টদের থেকে অভিবাসীদের দূরে রাখার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সিটি হল সূত্র জানায়, মেমোতে হাসপাতালের কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয় যে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা লোকদের ইচ্ছাকৃতভাবে সুরক্ষা প্রদান করা অন্যায়। এতে আরো বলা হয়, ‘আইসিইর হাতে ধরা পড়া এড়াতে কাউকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করা উচিত নয়।’
এতে আরো বলা হয়, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা ব্যক্তিদের আটক হওয়া থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা ফেডারেল অপরাধ।
তবে সিটি হল মুখপাত্র কায়লা ম্যামেলাক বলেছেন, আইসিইর সাথে সহযোগিতা করার জন্য সিটি কর্মীদেরকে নিউ ইর্য়র্ক সিটি নির্দেশনা দিয়েছে বলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে, তাতে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগই বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নগর কর্মীদের কল্যাণের জন্য ায়িত্বশীল। এ কারণে আমরা ফেডারেল তদন্তে না জড়ানোর জন্য নগর কর্মীরে নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, তবে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতিতে কেউ পড়লে তার উচিত হবে লিগ্যাল কাউন্সেলের সহায়তা গ্রহণ করা। তিনি ফেডারেল অ্যাজেন্টদের সাথে মৌখিক বা দৈহিক বিবাদ না করার জন্য কর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেন।