
ছবি: সংগৃহীত
রিকার্স আইল্যান্ডে আইসিই ফেরত আনার নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়ন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন মেয়র এরিক অ্যাডামস। টেন টেন উইন্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি ফার্স্ট ডেপুটি মেয়রের ওপর দায়িত্বটি দেওয়ার কথা জানান।
অ্যাডামস বলেন, ‘আমার একজন ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র আছেন। তিনি হলেন র্যান্ডি মাস্ট্রো। তিনি দারুণ অ্যাটর্নি, দারুণ ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র। তিনি মাঠে নামলে আমি সরে যাব।’
উল্লেখ্য, অপ্রত্যাশিত এক পদক্ষেপে র্যান্ডি মাস্ট্রো মঙ্গলবার রাতে ওই আদেশে সই করেছেন।
অনেকেই মনে করছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার মধ্যে বেশ ভালো লেনদেন চলছে। বলা হচ্ছে যে, হোয়াইট হাউস মেয়রের বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আর বিনিময়ে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনকে নিউইয়র্ক সিটিতে অভিবাসীদের ওপর দমন অভিযান চালানোর সুযোগ দিচ্ছেন।
অবশ্য মেয়র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মাথার ওপর আর কোনো মামলা নেই। ফলে আমি আবারো সৃষ্টিশীল হতে পারব।’
এদিকে নতুন সিদ্ধান্তের ফলে অভিবাসীদের বিতর্কিতভাবে বহিষ্কার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির আশ্রয় প্রদান আইনের আলোকে নগরীর সংস্থাগুলো সিভিল ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট প্রয়াসের সাথে সহযোগিতা করতে পারে না।
অনেক নগর কর্মকর্তা মনে করছেন, রিকার্সের নির্দেশটি নগরীর আশ্রয় দান আইনের লঙ্ঘন।
পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমান উইলিয়ামস এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের মেয়র অব্যাহতভাবে মিথ্যা বলচেন। প্রতারণামূলক লোকজনকে সুযোগ দেওয়া ঠিক নয়। এটা লজ্জাজনক ঘটনা।’
অভিবাসন গ্রুপগুলো এবং নগর কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এই নির্দেশ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে ভাবছেন।