
ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের উচ্চ শুল্প ঠেকাতে ক্যালিফোর্নিয়ায় মামলা হয়েছে। মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ক্যালিফোর্নিয়া ও দেশের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিদেশি বাণিজ্যিক সহযোগীদের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত উচ্চ শুল্ক ঠেকাতে বুধবার এ মামলা করেছে ক্যালিফোর্নিয়া।
সম্প্রতি বেশির ভাগ দেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে প্রশাসনের মতে যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা রয়েছে, সেগুলোর ওপর বড় আকারে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও পরবর্তী সময়ে বেশির ভাগ দেশের ওপর শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। কিন্তু কিছু ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাদে চায়নার পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের জবাবে দেশটি থেকে আমদানির ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চায়না।
মামলায় ক্যালিফোর্নিয়া স্টেইট বলেছে, আমেরিকার সংবিধান শুল্ক আরোপের দায়িত্ব অর্পণ করেছে কংগ্রেসের ওপর। ট্রাম্প শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ইন্টার্যাশনাল এমার্জেন্সি ইকোনোমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট নামের যে আইনটির কথা বলেছেন, সে আইন প্রেসিডেন্টকে আমেরিকায় প্রবেশ করা সব পণ্যের ওপর ইচ্ছামতো কর আরোপের অনুমতি দেয় না।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি ও আমেরিকার স্টেইটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানিকারক ক্যালিফোর্নিয়া ট্রাম্পের শুল্কের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য বহন করছে।
মামলায় বলা হয়, ট্রাম্প আরোপিত শুল্কের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার ১২টি বন্দর মারাত্মক ক্ষতির শিকার হতে পারে। আমেরিকায় আমদানীকৃত পণ্যের ৪০ শতাংশ আসে এসব বন্দরে। এ থেকে ভালো পরিমাণ কর রেভিনিউ পায় স্টেইট।
এতে আরও বলা হয়, চায়না ও অন্যান্য দেশ যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, তাতে ক্যালিফোর্নিয়ার কৃষি পণ্য রপ্তানি ব্যাহত করতে পারে। এটি হাজারো আমেরিকানের চাকরি ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।