
ছবি: সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিবাসী ডিপোর্ট বা বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক কোটির বেশি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কারের টার্গেট নির্ধারণ করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্ত অতিক্রম করে আসাদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। আবার একইসাথে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) গ্রেফতার দ্বিগুণ হয়েছে, আটক লোকের সংখ্যা সর্বকালের সর্বোচ্চ অবস্থায় উপনীত হয়েছে।
ট্রাম্পের আমলে অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থা নিয়েই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন মতে, আইস’র হাতে আটক অভিবাসীদের সংখ্যা : ৪৭,৯২৮। আর এ সংখ্যাটি ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
এদের মধ্যে দ-প্রাপ্ত অপরাধীর সংখ্যা ৩০.৫ শতাংশ, স্থগিত ফৌজদারি অপরাধীর সংখ্যা ২৩.১ শতাংশ, ‘অন্যান্য অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারীর’ সংখ্যা ৪৬.৪ শতাংশ, দ্রত ডিপোর্ট বা বহিষ্কারের জন্য আটক ১০.৪ শতাংশ।
কাদের বহিষ্কার বা ডিপোর্ট করা হয়েছে: ট্রাম্প প্রশাসন ডিপোর্টের বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি খেলছে। কতজনকে ডিপোর্ট করা হচ্ছে, তা নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে মিডিয়ার খবর অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে ১১ হাজার লোককে ডিপোর্ট করা হয়েছে। আর মার্চের প্রথম চার সপ্তাহে সংখ্যাটি হয়েছে ১২ হাজার তিন শ’র কিছু বেশি।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা অপরাধীদের ডিপোর্টের বহিষ্কারে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। কিন্তু আইসিইর তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে যাদের ডিপোর্ট করা হয়েছে, তাদের প্রায় অর্ধেকের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই।
আইস গত বছরের জুলাই মাসে কংগ্রেসকে বলেছিল যে তারা যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত, তবে হেফাজতে নেই- এমন চার লাখ ৩৫ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করেছে। এই লোকদের মধ্যে কতজনকে ডিপোর্ট করা হয়েছে, সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
এদিকে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ সীমান্ত অতিক্রমকারী অবৈধ লোকদের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা :
২০২৫ সালের মার্চ : ১১,০১৭ জন।
আগের মাসে সংখ্যাটি ছিল ৬৯২, আর গত ১২ মাসে গড়ে ছিল ৯৭,৯১৩ জন।