ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন নিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করেছেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘ট্রাইব্যুনাল ইজ রেডি, এবার আসো খেলা হবে!
মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ নিয়ে একটি পোস্ট দেন মাসুদ সাঈদী। পোস্টে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনের একটি ছবি শেয়ার করেন।
মাসুদ সাঈদী পোস্টে লেখেন, ‘খুনি হাসিনার বানানো আইনে আর তারই বানানো ট্রাইব্যুনালে হাসিনা আর তার দোসরদের বিচার হবে- ইনশাআল্লাহ। এই দিনটি দেখার জন্য মহান রবের দরবারে অজস্রবার চোখের পানি ফেলেছি। এখন স্বপ্ন পূরণে এই তো- আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা।’
উল্লেখ্য, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে নিয়োগ দিয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ট্রাইব্যুনালে বাকি দুজন সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার।
এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনায় এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রসঙ্গে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ ট্রাইব্যুনালে বিচারে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশ পেয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
এরপর গত বছরের ১৪ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার চার ছেলে। বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদী মারা গেছেন। আরেক ছেলে শামীম সাঈদী আমেরিকায় আছেন। ছোট ছেলে নাসিম সাঈদী যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। সাঈদীর ছেলেদের মধ্যে শুধু মাসুদ সাঈদী বর্তমানে দেশে আছেন।
