শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

খাইরুল ইসলাম পাখি’র কিচিরমিচির- ছাব্বিশ

বাড়ি কিনতে হলে জানতে  হবে, সঠিক তথ্যাদি

খাইরুল ইসলাম পাখি

প্রকাশিত: ১৮:২০, ১২ জুলাই ২০২৪

বাড়ি কিনতে হলে জানতে  হবে, সঠিক তথ্যাদি

ছবি: সংগৃহীত

বাড়ির চাইতে প্রয়োজনীয় কি আর কেনে মানুষ, এক জীবনে। স্বপ্নের একটা বাড়ি হবে, এটা তো সবার চাওয়া। তাও কিনা নিউইয়র্ক তথা আমেরিকায়। তাই বাড়ি নিয়ে জানার আগ্রহ বা প্রশ্নের তালিকাও অফুরন্ত। 
প্রথমত, সঠিক তথ্য জানার জন্য আপনার একজন সৎ ও দক্ষ রিয়েলটরের দ্বারস্থ হওয়া শ্রেয়। নতুবা ভুল তথ্য জেনে আপনার ক্ষতি হতে পারে বা আপনি হতে পারেন হতাশাগ্রস্থ। বাড়ি কিনতে হলে আপনার প্রাথমিক করণীয় বিষয় সমূহ:

 ১। আপনার ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী বাজেট নির্ধারণ। 
২। এরিয়া বা এলাকা নির্ধারণ।
 ৩। পছন্দ অনুযায়ী একটি মর্টগেজ কোম্পানির সাথে বোঝাপড়া করা।
 ৪। তাদের কাছ থেকে প্রি-অ্যাপ্রুভাল লেটার নেয়া।
 ৫। রিসার্চ করা বা বাড়ি খোঁজা শুরু করা। 
উপরের সব কয়টি বিষয় এবং প্রয়োজনীয় সব রকম দরকারে আপনাকে গাইড করতে পারেন একজন দক্ষ রিয়েলটর বা এজেন্ট। 
এখন প্রশ্ন আসে যে, আপনি বাড়ি কেনার জন্য যোগ্য ক্রেতা কিনা?  কেউ হয়তো ভাবতে পারেন আমার টাকা আছে এর চাইতে আর কি চাই বাড়ি কিনতে হলে?  কিন্তু টাকা থাকলেও আপনি ক্রেতা হিসেবে কোয়ালিফাই নাও করতে পারেন! যেমন আপনার ক্রেডিট স্কোর কি রকম বা কত? আপনার অ্যাসেট আছে কিনা? এসবও জরুরী,  বাড়ী কেনার আগে। 
ধরুন আপনার বাজেট অনুযায়ী পর্যাপ্ত টাকা আছে আপনার। কিন্তু এ টাকা কোথা থেকে আসলো বা আয়  হলো এর ফিরিস্তটাও সঠিক হতে হবে। অন্যদিকে আপনার ক্রেডিট স্কোর বলে দেবে আপনার অন্যান্য লোন বা লেনদেনের হিসাব এবং লেনদেনে আপনার স্বচ্ছতা। এছাড়া আপনার জমানো টাকা, বাড়ি বা জমি-জমা থাকলে সেসব অ্যাসেড হিসেবে গণ্য করা হয়।
উপরের তিনটি বিষয় প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হয় লোন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে। আর জমানো অর্থ দিয়ে আপনার ডাউন পেমেন্ট, ক্লোজিং কস্ট, শিপিং চার্জ এসব সম্পন্ন হবে। ডাউন পেমেন্ট হলো, ধরুন আপনার বাড়ির মূল্য ৫০০ হাজার ডলার এখন এর ২০% আপনি অগ্রিম শোধ করবেন অর্থাৎ ১০০ হাজার ডলার আপনার ডাউন পেমেন্ট। আর বাদবাকি ৪০০ হাজার ডলার আপনি লোন করছেন বা মর্টগেজ নিচ্ছেন। আর ক্লোজিং কস্ট হল অনেক খুঁটিনাটি ফি বা খরচ একসঙ্গে করে একটা খরচ। এর মাঝে অনেক কিছু আছে, যেমন: অ্যাটর্নি ফি, হোম ইন্সুরেন্স, টাইটেল ইন্সুরেন্স, রেকর্ডিং ফি, ট্রান্সফার ট্যাক্স, লোন অরিজিনেশন ফি ইত্যাদি। সবশেষে বাড়ি কেনার পর মালপত্র স্থানান্তর এবং নতুন আসবাবপত্র কেনা, টুকটাক রেনোভেশন বা ঠিকঠাক করা এবং রং করা ইত্যাদিও মাথায় রাখতে হবে। তারসাথে শিপিং বা মুভিং কস্ট/ খরচ ভুললে চলবে না।
উপরের সব কিছু একটা প্রাথমিক ধারণা মাত্র। এসবও জানার প্রয়োজন আছে। আপনি গুগল করে ওসব ধারণা পেতে পারেন। মনে রাখবেন যত জানবেন ততই আপনার লাভ, আপনি পজিটিভলি মোটিভেটেড হবে এবং সঠিক পথে হাঁটতে পারবেন।  হুট করে না জেনে বাড়ি কেনা-বেচার মত একটি কঠিন কাজে ঝাঁপ দেয়া ক্ষতির কারণ হবে বৈকি!  শুধু নিউইয়র্ক কেন গোটা ইউএসএতেই আপনাকে বাড়ি কিনতে বা বিক্রি করতে সাহায্য করার জন্য সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত রিয়েল এস্টেট এজেন্ট, ইন্সপেক্টর, মর্টগেজ কোম্পানি, এটর্নী এরা সবাই তৈরি আছে। সঠিক লোকজনের সাহায্য নিলে আপনার ক্ষতি বা লোকসানের রিস্ক থাকে না। ভয়ের কিছু নেই এরাই পর্যায়ক্রমে আপনাকে সহযোগিতা করবেন। রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসায় দক্ষ ডাক্তার যেমন জরুরী তেমনি একজন দক্ষ ও সৎ রিয়েলটর আপনাকে বাড়ি কেনা ও বেঁচা সংক্রান্ত সমস্ত ধারণা ও সহযোগিতা দেয়ার জন্য জরুরী। যাতে করে আপনার রিস্ক কমে যাবে, স্বপ্নপূরণ সহজতর হবে এবং সুন্দর হবে।  বাড়ি কেনা-বেঁচা সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্নোত্তর ও সহযোগিতার জন্য আপনার ইনফরমেশন সহ নি:সংকোচে যোগাযোগ করুন- ৬৪৬৩০১৮১০১, শঢ়ধশযর@শ.িপড়স.
 

শেয়ার করুন: