ছবি - নবযুগ
আগামী ৩০, ৩১ আগষ্ট ও ১ সেপ্টেম্বর ম্যারিল্যান্ডের হোটেল হিল্টন গেইদারসবার্গে অনুষ্ঠিত হবে ৩৮তম ফোবানা সম্মেলন। এতে মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি, উন্নয়ন, ইমিগ্রেশন, জাদু, প্রবাস ও নতুন প্রজন্ম বিষয়ক বেশ কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। গত রোববার, ৪ আগষ্ট জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফোবানার স্টেয়ারিং কমিটি ও হোস্ট কমিটির নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
ফেবানা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ও হোস্ট কমিটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির বাবলু সম্মেলনের আগ্রগতি তুলে ধরেন পৃথক পৃথকভাবে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্টিয়ারিং কমিটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি কাজি সাখাওয়াত হোসেন আজম। মঞ্চে ফোবানা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন খান, আলী ইমাম শিকদার, ড.আবু যোবায়ের দারা, ফিরোজ আহমেদ, সারওয়ার মিয়া, শরাফত হোসেন বাবু, নিশান রহিম, মামুন মোতালেব, আনোয়ার হোসেন জিন্নাহ, খোরশেদ আলম ও সাব্বির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ নেওয়াজ বলেন, আমাদের সম্মেলনের প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৩টি স্টেট থেকে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি, উন্নয়ন, ইমিগ্রেশন, জাদু, প্রবাস ও নতুন প্রজন্ম বিষয়ক বেশ কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
আমাদের মনন ও চিন্তায় সবসময়ই প্রিয় বাংলাদেশ। দেশের শুভ সংবাদে আমরা আন্দোলিত হই। মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। প্রবাস থেকে লাখ লাখ ডলার পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখি। শেঁকড়ের টানে আমরা বারবার ছুটে যাই। এ দিশটি ভালো না থাকলে আমরাও ভালো থাকি না। বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কয়েক শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। দেশের জানমালের ক্ষতিতে প্রবাসীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। আমরা প্রত্যাশা করছি, সবাই সহনশীলতা প্রদর্শন করে একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহ নেওয়াজ বলেন, এটর্নি আলমগীরের নেতৃত্বাধীন ফেবানার সাথে ঐক্য করার ব্যাপারে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম। তারা এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় থাকবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। এ নিয়ে দুবাই ও নিউইয়র্কে কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছিল।