ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা হচ্ছে না। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন, দূতাবাস ও কনস্যুলেট ছাড়াও বাংলাদেশ সোসাইটি ও প্রবাসী বাংলাদেশী সমাজের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কথা জানা যাচ্ছিল। এজন্য ম্যানহাটানের ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেলের ৬০০ লোকের আসন বিশিষ্ট বল রুম ভাড়া করা হয়েছিলো।
এদিকে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক আগমনের দিন-তারিখও পিছিয়ে গেছে। আগে বলা হয়েছিলো ২২ সেপ্টেম্বর রোববার তিনি নিউইয়র্ক আসবেন। নতুন সিডিউল মোতাবেক তার নিউইয়র্ক আগমনের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার।
ঢাকার দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিয়ে ঢাকায় বিতর্কিত নানা ম্যাসেজ যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে সংবর্ধনার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশের পাশাপাশি জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে ঢাকা থেকে বলা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সময়ের স্বল্পতার কারণে তা বাতিল করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার দেশের মৌলিক সংস্কার কর্মকা- নিয়ে ব্যস্ত। এরই মধ্যে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান দেশের জন্য বড় একটি বিষয়। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে হাসিনা সরকারের প্রশাসনিক বিন্যাস বহাল থাকায় কোন কোন মহল থেকে ‘স্যাবোটাজ’, অবিশ্বাস, নিরাপত্তাহীনতা প্রভৃতি বিষয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গোচরীভূত হয়েছে। অপরদিকে কনস্যুলেট আর মিশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদানেচ্ছু প্রবাসীদের নামের বহরে একদিকে কনস্যুলেট যেমন বিব্রত তেমনী কে কোন মতের বা পথের, বা কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক তা নিয়েও কনস্যুলেট বিব্রত। ড. ইউনূসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য হাজারোধিক প্রবাসীর নামের লিস্ট বিভিন্ন মাধ্যমে কনস্যুলেটে জমা পড়েছে বলে সংশ্লিস্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।