ছবি: সংগৃহীত
তিনি মাত্র নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করছেন। সেই তিনি ২০ বছর ধরে পুরুষাঙ্গ লম্বা করার কাজ করে চলেছিলেন। অবশেষে তিনি ধরা পড়েছেন। ঘটনাটি থাইল্যান্ডেরর সামুত সাখোন শহরের। পুলিশ ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করেছে।
থাই পুলিশ জানিয়েছে, কিত্তিকর্ন সঙ্গ¤্রি (৩৯) নামের ওই চিকিৎসক কিশোর বয়সেই ‘সিকিকন ফিলার’ ইনজেকশন সম্পর্কে নিজে নিজেই শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। তারপর তিনি তার নিজের শহরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে যৌনাঙ্গ বড় করার কাজে নিয়োজিত হন।
এক রোগীর খুবই বাজে অভিজ্ঞতার পর পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। তখনই চালানো হয় এই অভিযান। ওই ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককেও’ ধরা হয়।
ওই রোগী জানান, তিনি পেনিল পার্লস’ গ্রহণ করার পর প্রচ- ব্যথায় আক্রান্ত হন। ওই চিকিৎসক তাকে এই ওষুধটি তার পুরষাঙ্গের ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলেন। রোগীর জন্য আরো কষ্টকর বিষয় হলো, ওই চিকিৎসা গ্রহণ করার পর তিনি তার পুরুষাঙ্গ খাড়া করতে পারছেন না।
ওই চিকিৎসক সামাজিক মিডিয়ায় তার অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে বিজ্ঞাপন দিয়ে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। তবে অভিযোগের পর পুলিশ স্ট্রিং অপারেশনের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে।
ওই চিকিৎসক প্রতিটি অস্ত্রোপচারের জন্য ২০ হাজার করে বাথ (প্রায় ৬১৫ মার্কিন ডলার) গ্রহণ করতেন বলে জানা গেছে। ২০ বছর ধরে প্রতি মাসে তিনি দুই থেকে তিনটি রোগীর অস্ত্রোপচার করতেন।
তার বিরুদ্ধে লাইসেন্স ছাড়াই চিকিৎসা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ তার বাসা থেকে রোগীদের জন্য ব্যবহৃত বিছানা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। সবকিছুই অস্বাস্থ্যকর বলে পুলিশ সদস্যদের কাছে মনে হয়েছে।