ছবি - নবযুগ
ব্রুকলিনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা চার্চ ম্যাকডোনাল্ডে দুটি বাড়ি এবং লং আইল্যান্ডে কবরস্থানের পর এবার বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য বড় প্রজেক্ট নিয়ে এগোচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি। সংগঠনের আলোচিত প্রজেক্টটি হচ্ছে নিউইয়র্কে ১ লাখ কবর। আপটাউনের মিডল টাউনে ১২৬ একর জায়গার ওপর এই প্রজেক্ট হবে। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলিন থেকে এই প্রজেক্টের যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। এই প্রজেক্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০২২ সালের ২২ জুলাই বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির যৌথ সভায়। সেই যৌথ সভার পর পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই বিশাল প্রজেক্টটি কমিউনিটির সঙ্গে উপস্থাপন করা হয় গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় উডসাইডের গুলশান টেরেসে। অনুষ্ঠানে আগতদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ জসীম এবং স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বক্তব্য রাখেন সমিতির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাজি মফিজুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোশাররফ হোসেন খোকন, বি এম বেলাল, কার্যকরি কমিটির সহ-সভাপতি তাজু মিয়া। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রজেক্ট নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রজেক্টের আহ্বায়ক আব্দুর রব মিয়া। জাহিদ মিন্টুর উপস্থাপনায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে পুরো প্রজেক্টটি উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্টের পরিকল্পনা, শুরু, প্রথমিক কাজ, বর্তমান অবস্থা, সুযোগ-সুবিধাসহ খুঁটিনাটি সব বিষয় উপস্থাপন করা হয়।
গত ১৬ ডিসেম্বর পুরো অর্থ নগদে দিয়ে এই প্রজেক্ট ক্লোজ করা হয়েছে। বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এই প্রজেক্টের উদ্যোক্তা জাহিদ মিন্টু, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম, বিএম বেলাল, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য খোকন মোশাররফ এবং কার্যকরি সদস্য তাজু মিয়া।
এই প্রজেক্টের ব্যয় প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলারের মতো হবে। তিনি আরো জানান, প্রজেক্ট যেহেতু ক্লোজ করেছি, অচিরেই সংবাদ সম্মেলন করে পুরো বিষয়টি কমিউনিটির সামনে উপস্থাপন করবো।