ছবি: সংগৃহীত
ঊনবাঙালের ৪৭ তম সভার বিষয়বস্তু ছিল ‘সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তায় সাহিত্যের ভূমিকা’। গত ২৬ জানুয়ারি জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত সভায় এই বিষয়ে সারগর্ভ বক্তব্য রাখেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, কম্যুনিটি লিডার ফখরুল আলম এবং লেখক, রাজনীতি-চিন্তক আবু জাফর মাহমুদ। বক্তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণতন্ত্রকে সুসংহত করার ওপর গুরুত্ব দেন এবং কখন কীভাবে ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন রাজনীতি, ভিন্ন অর্থনীতি আমাদের ওপর ঔপনিবেশিক প্রভাব বিস্তার করে তা বোঝার জন্য লেখকদের সজাগ থাকতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, লেখকেরা সমাজের সবচেয়ে সচেতন মানুষ। তারাই সকলের আগে সার্বভৌমত্বের হুমকিগুলো টের পান, এটি লিখে জনগণকে জানাতে হবে, দেশের মানুষকে সজাগ রাখতে হবে।
প্রথা অনুযায়ী এ মাসের নির্বাচিত কবি দেওয়ান নাসের রাজা ৪টি কবিতা পড়ে শোনান। এ-মাসের নির্বাচিত আবৃত্তি শিল্পী ছিলেন মুন্না চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন এবং হারুনুর রশীদ তানভীর। তার প্রত্যেকে ৩টি করে কবিতা আবৃত্তি করেন।
এ-ছাড়া উপস্থিত কবি, লেখক, আবৃত্তি শিল্পীরা তাদের নিজের লেখা কবিতা, বই-আলোচনা পাঠ করেন এবং বিখ্যাত কবিদের কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন। এ-পর্যায়ে অংশ নেন আহসান হাবিব, জিএম ফারুক খান, সুমন শামসুদ্দিন, সোহেল হামিদ, রওশক হক, ইমাম চৌধুরী, এস এম মোজাম্মেল হক, সোহানা নাজনীন, মিজানুর রহমান, জেসমিন আখতার আঁখি, সায়েব খালিসদার প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে গান পরিবেশন করেন নজরুল ইসলাম এবং টুটুল। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সভাপতি মুক্তি জহির এবং সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন ইমাম চৌধুরী।
এই সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ঊনবাঙাল একটি বইমেলার আয়োজন করবে, যার উদ্বোধন করা হবে ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে, চলবে ২৩ তারিখ পর্যন্ত। মেলা আয়োজনের জন্য একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যদের নাম পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।