ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের জনপ্রিয় হোম কেয়ার কর্মসূচি(সিডিপেপ) পাবলিক পার্টনারশিপস লিমিটেড লায়াবিলিটি পিপিএল –এ স্থান্তারন্তর প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিয়েছে আদালত। গত ৩১ মার্চ ফেডারেল বিচারক ফ্রেডেরিক ব্লকের এক টেম্পোরারি রেস্ট্রেইনিং অর্ডারে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আজ ৪ এপ্রিল, শুক্রবার এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৬ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, নিউইয়র্ক রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ কর্মসূচির রূপান্তর প্রক্রিয়ায় একাধিক প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকায় বহু সেবা গ্রহণকারী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া, কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ বা আপত্তি জানানোর সুযোগ না দিয়ে সিডিপেপ সেবার পরিবর্তন করা হয়েছে। যা সংবিধান ও মেডিকেইড আইন অনুযায়ী গ্রাহকদের অধিকার লঙ্ঘন করছে। গুরুতর অভিযোগ আনা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাধিনানের ১৪ সংশোধীর কথা উল্লেখ করা হয়। যেখানে বলা হয় যে কোন ক্ষেত্রে বেশি মানুষের সর্ম্পৃক্ততা এবং চাহিদাকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে করে বুঝা যায় প্রায় ৬শ কোম্পানির হাত থেকে সিডিপ্যাপ নিয়ে একটি কোম্পানির হতে দেয়ার বিষয়টি এই সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, যারা ইতোমধ্যে পিপিএলের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছেন তারা পূর্বের মতোই সেবা পাবেন। তবে যারা এখনো নিবন্ধিত হননি তাদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে থাকা প্রায় ৬ শতাধিক আর্থিক মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। আজ, ৪ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির মাধ্যমে রূপান্তরের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এই পরিবর্তনকে প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে বলেছেন, সিডিপেপের ব্যয় মাত্র পাঁচ বছরে ৩.২ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন ব্যবস্থাপনা জরুরি।
তিনি জানান, রাজ্য প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য রোগী ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তবে আগের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে তাদের আর সময় দেওয়া হবে না।
