
ছবি: সংগৃহীত
নানা করনেই নিউইয়র্ক সিটিতে ফাস্ট ফুড-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফলে ম্যানহাটান থেকে শুরু করে সিটির বিভিন্ন বরোর বিভিন্ন স্থানে রাস্তার ফুটপাতে ‘ফুড কার্ড’-এ বিক্রি হচ্ছে মুখরোচক এসব খাবার বিশেষ করে শাহ’র জাইরো খাবার এখন বাংলাদেশী সহ অন্যান্য কমিউনিটিতে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। আর এই জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করেই ‘ফুড কার্ড’ পেরিয়ে খাবারগুলো এখন স্টোরে স্থান পাচ্ছে। বাংলাদেশী মালিকাধীন অনেক স্টোর চালু হয়েছে সিটির বিভিন্ন স্থানে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফাতেমা ব্রাদার্স-এর মালিকানায় জাইরো খাবারের ফ্রানচাইজ ‘শাহ’র হালাল ফুড স্টোর’-এর নতুন স্টোর উদ্বোধন হলো কুইন্সের জ্যামাইকার কুইন্স ভিলেজের ২১৮-৪০ হিলসাইড এভিনিউ ঠিকানায়। গত ১২ এপ্রিল, দুপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনে এই স্টোরের উদ্বোধন করা হয়। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর ঠান্ডা আবহাওয়ায় ফিতা কেটে বাংলাদেশী মালিকানাধীন স্টোরটির উদ্বোধন করেন কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনবান রিচার্ড। এসময় নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর জন সি ল্যু ও লিরয় কমরি, সিটি কাউন্সিওম্যান ড. নাতাশা উইলিয়াম এবং সিটি মেয়রের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উপদেষ্টা দীলিপ চৌহান সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্টোরটির উদ্বোধনী পর্বে অতিথিরা সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। পরে তারা শাহ’র ফুড খেয়ে এর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে শাহ’র হালাল ফুডের কর্ণধার দুই ভাই শাহ ও নাবিদসহ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমদ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক হককথা ও আজকের টেলিগ্রাম সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফাতেমা ব্রাদার্স-এর কর্ণধার হাজী শামসুল ইসলাম, অন্যতম পরিচালক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কুইন্স বরো হলের চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাদেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার জানান, ফাতেমা ব্রাদার্স-এর পক্ষে স্টোরটি তত্ত্বাবধান করবেন শরিফ রহমান। নিউইয়র্কে ফাতেমা ব্রাদার্স-এর মালিকানায় ফ্রানচাইজ ‘শাহ হালাল ফুড’র আরো ৫টি স্টোর রয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘শাহ’র হালাল ফুড স্টোর’টি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ঐদিন দুই শতাধিক নিউইয়র্কারের মধ্যে ফ্রি জাইরো ফুড বক্স বিতরণ করা হয়। সর্বস্তরের মানুষ এসময় লাইনে দাঁড়িয়ে ফুট বক্স সংগ্রহ এবং খাবারের প্রশংসা করেন।