ফাইল ছবি
চীন দাবি করেছে, নেপালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অধীনে পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছে। এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনপি সাউদ। নেপালে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চেন সং বার বার ওই দাবি করেন। বলেন, বিআরআই ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে নির্মাণ হয়েছে পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
এর জবাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং পর্যটন বিষয়ক কমিটিতে ভাষণে এনপি সাউদ বলেন, বিআরআই প্রকল্প এখনও কার্যকর হয়নি নেপালে। তিনি আরও বলেন, নেপাল শুধু বিআরআই স্বাক্ষর করেছে। এর প্রেক্ষিতে কোনো বাস্তব পরিকল্পনা ও উদ্যোগ এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
নেপালভিত্তিক কাঠমান্ডু পোস্ট রিপোর্ট করেছে যে, নেপালে একের পর এক প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে সম্পন্ন হয়েছে বলে একতরফাভাবে দাবি করে যাচ্ছে চীন। এর ফলে নেপালের কূটনৈতিক মহলে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে চীনের এমন দাবিতে বিস্মিত হয়েছেন। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচন্ড নতুন বিমানবন্দর উদ্বোধনকালে চীন ওই দাবি করে। আবার ২২ জুন নেপালে চীনের রাষ্ট্রদূত চেন সং টুইটারে লিখেছেন, নেপালে ওয়েচাট পে ক্রস-বোর্ড পেভমেন্ট সার্ভিস উদ্বোধনকে উষ্ণ অভিনন্দন। বিআরআই উদ্যোগের অধীনে ৫টি সংযুক্তির অন্যতম এটা। এটা হলো আর্থিক সংযুক্তির দিকে আরও একটি নতুন পদক্ষেপ।
তবে গত সপ্তাহে প্রতিনিধি পরিষদে ভাষণ দেয়ার সময় নেপালি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনপি সাউদ ব্যাখ্যা করেন যে, বিআরআইয়ের অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি নেপাল ও চীনের মধ্যে আলোচনার পর্যায়ে আছে। বিআরআইয়ের অধীনে নেপালে একটিও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়নি। এর অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয় বিবেচনাধীন আছে। উল্লেখ্য, নেপাল ও চীন কর্তৃপক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বিপরীত মন্তব্য করছে। এর ফলে একরকম কূটনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দ্বিধা নেপালের স্বার্থে যাবে না।
২০১৭ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে নেপাল এবং চীন যে পরিকল্পনা করে তাতে, এর অধীনে বাস্তবায়নের জন্য ৩৫টি প্রকল্প প্রাথমিকভাবে বাছাই করে নেপাল। পরে এ থেকে সংখ্যা কমিয়ে মোট ৯টি প্রকল্প রাখা হয়। এর মধ্যে পোখারা বিমানবন্দর নেই। কিন্তু বেইজিং এখন বলছে, বিআরআইয়ের অধীনে এই প্রকল্প।