ফাইল ছবি
বৃষ্টির দিন কার না ভালো লাগে। বৃষ্টির ঝিরঝির শব্দে সবকিছু ভুলে কোথায় যেন হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। যখন বৃষ্টি নামে পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। তবে বৃষ্টি শুধু ভালোলাগা তৈরি করে না, মাঝে মাঝে মনে খারাপ লাগাও তৈরি হয়। পুরনো স্মৃতিগুলো মনে উঁকি দিয়ে যায়। জীবনের পাওয়া না পাওয়া গল্পগুলো মূহুর্তে এসে হাজির হয়। প্রিয়জনের সাথে আড্ড দিতে মন চায়। বৃষ্টির দিনে নানা রকম গান শুনতে, গাইতে ভালো লাগে। তবে বৃষ্টি আসলে যে গানটির কথা সবার মনে পড়ে সেটি হল, শ্রীকান্তর গাওয়া গান-
‘ আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ বৃষ্টি তামাকে দিলাম- শুধু শ্রাবণ সন্ধ্যাটুকু তোমার কাছে চেয়ে নিলাম’।
বৃষ্টি নিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া একটি গান সবাইকে নস্টালজিক করে তুলে। বহু আগের গান হলেও এখনও ¯্রােতাদের মাঝে তা সমানভাবে জনপ্রিয়। বৃষ্টির দিনে এই গানের প্রতিটি লাইন মনকে ভালো করার জন্য যথেষ্ট। গানটি হলো-
‘এই মেঘলা দিনে একলা
ঘরে থাকেনা তো মন
কাছে যাবো তবে পাবো
ওগো তোমার নিমন্ত্রণ।’
বৃষ্টি নিয়ে মনভালো বা খারাপ করা অনেক লেখক বা শিল্পাীর অনেক গান রয়েছে। তবে বর্তমান তরুনদের কাছে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের লেখা বৃষ্টির একটি গানের প্রসঙ্গ তুলে বৃষ্টির কথা শেষ করছি। তিনি খুব বৃষ্টি ভালোবাসতেন। হয়তো সে কারণে এই গানটি লিখেছিলেন। তার অনেক বইয়ের বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক কথা ফুটে উঠেছে। গানটি হলো-
‘যদি মন কাঁদে,
তুমি চলে এসো- চলে এসো- এক বরষায়
যদি মন কাঁদে, তুমি চলে এসো-...”
বৃষ্টি যেমন প্রকৃতিকে সতেজ করে তোলে, ঠিক তেমনি বৃষ্টির শীতল বাতাস ও মাটির সুগন্ধ আমাদেরকে ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। বৃষ্টি নিয়ে গান কবিতা লিখা হয়েছে। কিন্তু একবার ভাবুনতো যদি বৃষ্টি না হতো তা হলে এসব অমর সৃস্টি কি আমরা পেতাম!
পৃথিবীর সব অঞ্চলেই কম বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে একেবারেই বৃষ্টি হয় না। এমনি একটি গ্রামের নাম আল হুতাইব। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে অবস্থিত। দেশটির রাজধানী সানার প্রশাসনিক এলাকা জাবল হারজের পার্বত্য অঞ্চলে গ্রামটির অবস্থান। বৃষ্টি না হলেও গ্রামটির সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। সেখানে জনবসতি, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ সবই আছে। রয়েছে প্রাচীন স্থাপনাসমূহও। যা দেখতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটকেরও আগমন ঘটে সেখানে।
মূলত সমতল থেকে প্রায় ৩২০০ মিটার উঁচুতে এই গ্রামের অবস্থান। আর স্বাভাবিক বৃষ্টির মেঘ জমে সমতল থেকে ২০০০ মিটারের মধ্যে। তাই আল হুতাইবের ওপরে মেঘ জমে না। বৃস্টিও হয় না। আগ্রহীরা চাইলে কিন্তু গ্রামটি ঘুরে আসতে পারেন। কথায় বলেনা- শখের তোলা লাখ টাকা! সূত্র-আল আরাবিয়া।