ফাইল ছবি
পরিবারকে বলা হয় পৃথিবীর স্বর্গ। কিন্তু এই স্বর্গ সবসময় স্বর্গ থাকে না নরকেও পরিণত হতে পারে। একান্নবর্তী পরিবারে দেখা যায়, ভাইয়ে ভাইয়ে অমিল। বাবা ছেলে অমিল। ভাইয়ে বোনে অমিল। অধিকাংশ সময় এই অমিলগুলোর মূলে থাকে সম্পত্তি। আবার বর্তমানে পরিবার কেন্দ্রিক যে সমস্যাটি সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরী করেছে তা হল স্বামী-স্ত্রীর অমিল।
কিন্তু পাকিস্তানের একটি পরিবারের ৯ সদস্যের একটি জায়গায় রয়েছে অদ্ভুত মিল। তাদের সবার জন্মদিন একই তারিখে। কাকতালীয়ভাবে একই তারিখে জন্ম নেওয়ায় বিশ্ব রেকর্ডের খাতায় নাম উঠেছে পরিবারটির।
সিন্ধু প্রদেশের লারকানা শহরে বাড়ি ওই পরিবারের। পরিবারটির সব সদস্যের জন্ম ১ আগস্ট। আমির আলি ও খুদেজা দম্পতির জন্ম একই তারিখে। তাদের রয়েছে ৭ সন্তান। এর মধ্যে চারজন যমজ। মা-বাবার মতো সাত ভাইবোনের জন্ম গিনেস কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমির ও খুদেজার সাত সন্তানের বয়স ১৯ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে সবার বড় সিন্ধো। এরপর সাসুই ও স্বপ্না। তারা যমজ বোন। তাদের পর জন্ম আমির ও আম্বারের। এই দম্পতির সবশেষ দুই সন্তান আম্মার ও আহমার। তারাও যমজ ভাই।
আমির-খুদেজা দম্পতির সাত সন্তান স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে এসেছে। তাদের কারও অস্ত্রোপচার (সিজার) করাতে হয়নি। এ জন্য তাদের নাম গিনেস রেকর্ডসে এসেছে। কোনো সন্তানের জন্মও যদি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হতো, তাহলে গিনেস রেকর্ডসে তাদের নাম আসত না।
আমির ও খুদেজার কাছে ১ আগস্ট আরও একটি কারণে বিশেষ। দিনটি একই সঙ্গে তাদের জন্মদিন ও বিবাহবার্ষিকী। ১৯৯১ সালের এই তারিখেই তারা বিয়ে করেন। একই দিনে জন্ম নেওয়া সবচেয়ে বেশি ভাইবোনের রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছেন আমির-খুদেজার সাত সন্তান। এর আগের রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কামিন্স পরিবারের। তারা ছিলেন পাঁচ ভাইবোন। তাদের সবার জন্মদিন ২০ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া বিশ্বে আর কারও এমন রেকর্ড নেই।
আমির জানান, ১৯৯২ সালের ১ আগস্ট যখন তাদের প্রথম সন্তান সিন্ধোর জন্ম হয়, তখন যারপরনাই আশ্চর্য হয়েছিলেন তিনিও তার স্ত্রী খুদেজা। এরপর একে একে বাকি ছয় সন্তানেরও একই দিনে জন্ম হতে দেখে একইভাবে অবাক হন তারা।
তবে অনেকের মতে এটা তাদের জন্য উপকার হয়েছে। একটা কেকে দিয়ে একই দিনে একটা অনুষ্ঠান দিয়ে সবার জন্ম বার্ষিকী পালন করা যায়। ব্যাপারটা আসলেই খুব মজার তাই না!