কুইন্স হাসপাতালের ডাক্তার যখন ধর্ষক
চিকিৎসা নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া এক তরুণী এখন কোনো চিকিৎসকের কাছে যেতেই ভয় পাচ্ছেন। তিনি এতটাই ভীত হয়ে পড়েছেন যে দোয়া করছেন, জীবনে আর যেন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে না হয়।
ডা. ঝি অ্যালেন চ্যাঙের, ৩৩, বিরুদ্ধে হাসপাতালেই নারী রোগীকে অচেতন করে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে কেবল রোগী নয়, বান্ধবীদের ধর্ষণ করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
স্প্যানিশ অনুবাদকের মাধ্যমে ২২ বছর বয়স্কা রোগী ডব্লিউএবিসি-টিভিকে জানান, হাসপাতালে পায়ুপথে অপ্রয়োজনীয় একটি পরীক্ষার কথা বলে তাকে অচেতন করে ওই চিকিৎসক মজা লুটেছে।
তিনি তার দায়ের করা মামলায় বলেন, ‘জ্ঞান ফেরার পর কী ঘটেছে বুঝতে পারি। আমার দেহ ও পা দুটিতে ভয়াবহ ব্যথা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি এখন ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পাই। আমি যেতে চাই না। আমি ঈশ্বরের কাছে কামনা করি, যেন আর অসুস্থ না হই।’
তিনি কুইন্সের একটি হাসপাতালের শিশু বিভাগের এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন গলস্টোনের চিকিৎসা নিতে। চেঙ ছিলেন কুইন্স হাসপাতালের গলস্টোনের বিশেষজ্ঞ। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এখন ধর্ষণ, কুশলীভাবে যৌন আক্রমণ করা এবং এ-সংক্রান্ত আরো কয়েকটি অপরাধের মামলা হয়েছে। তিনি কেবল ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত থাকতেন না, ওই অপরাধের ভিডিও পর্যন্ত করে রাখতেন।
মামলার প্রেক্ষাপটে কুইন্স সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারক তাকে জামিন ছাড়াই রিকার্স আইল্যান্ড কারাগারে বন্দী করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
কুইন্সের ডিস্টিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্ডা কাটজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই তরুণ চিকিৎসককে সম্ভবত সারা জীবন কারাগারেই কাটাতে হবে।
তবে ডা. চেঙ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
অবশ্য, তিনি এবারই প্রথম গ্রেফতার হননি। ডিসেম্বরেও বান্ধবীকে অচেতন করে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি ধর্ষণের ভিডিও করেছিলেন।
তার বিরুদ্ধে মোট ছয় নারীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এসব নারীর বয়স ১৯ থেকে ৪৭ বছর। অনেকে আশঙ্কা করছেন যে তার শিকারের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে।
তিনি সান ফ্রানসিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া প্যাসিফিক মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ২০২০ সালের জুনে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট লাভ করেন।