ছবি - নবযুগ
নিউইয়র্কে শিশু গরিবি হার পুরো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখনো শীর্ষস্থানীয় রয়ে গেছে এবং কয়েকটি নগরীর মধ্যে ‘আতঙ্কজনক’ উচ্চ রয়েছে বলে স্টেট কম্পট্রোলার টম ডি ন্যাপোলি জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের শিশু গরিবি হার ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৪১তম স্থানে রয়েছে।
নিউইয়র্কের সীমান্ত-সংলগ্ন অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে তা অন্তত ছয় ভাগ বেশি। ২০২২ সালে ২৭ লাখের বেশি নিউইয়র্ক অধিবাসী গরিবি অবস্থায় বাস করত। আর এদের চার ভাগের এক ভাগ শিশু। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গরিবি অবস্থায় বসবাসকারী শিশুদের প্রায় অর্ধেকই ‘খুবই গরিব’। এর অর্থ হলো, তারা এমন বাড়িতে বাস করে, যেখানে আয় ফেডারেল গরিবি রেখার ৫০ ভাগ নিচে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আলবানি, সাইরাকাস, রোচেস্টার ও বাফেলোর মতো একই ধরনের জনসংখ্যা-সংবলিত মার্কিন নগরীগুলোর সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে এসব নগরীর শিশু গরিবি হার অন্যগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ। ২০২২ সালে সাইরাকাস, রোচেস্টার ও বাফেলোর শিশুদের মধ্যে ৪০ থেকে ৪৬ ভাগ গরিবি অবস্থায় ছিল। গরিব শিশুদের অবস্থানের দিক থেকে এসব নগরীর অবস্থান ছিল যথাক্রমে দ্বিতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম।
ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর সংজ্ঞা অনুযায়ী, গরিবি অবস্থা বলতে সেটাই বোঝায় যখন ওই বাড়িতে খাদ্য, পোশাক ও আশ্রয়ের মতো মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করতে পারে না কিংবা জীবনধারণের ন্যূনতম মানদ- পূরণ করার মতো আর্থিক অবস্থা থাকে না।
ডি ন্যাপোলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, গরিবি অবস্থা স্বাস্থকর শিশু বিকাশে মারাত্মক বাধার সৃষ্টি করে। করোনা মহামারি সময় অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা সত্ত্বেও ওই সময় শিশু গরিবি অর্ধেক কমে গিয়েছিল। কারণ তখন সরকার পরিবার ও শিশুদের সহায়তার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। ওইসব কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সমস্যার অবনতি হতে থাকে। রাজ্য ও ফেডারেলস রকারের গরিবি অবস্থা থেকে শিশুদের তুলে আনার কর্মসূচি রয়েছে। আমাদেরকে জরুরিভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক এবং জাতির মধ্যকার শিশু গরিবি হারের ব্যবধান ২০১৯ সাল থেকে বাড়ছে।