ছবি: সংগৃহীত
ফ্লার্ট ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত কোভিড-১৯-এর নতুন স্ট্রেইনটি আগেরগুলোর চেয়ে লোকজনকে বেশি অসুস্থ করছে না বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তবে শঙ্কার কথা হলো, এই ভ্যারিয়েন্টটি অনেক বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমক ব্যাধি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. টমাস রুশো বলেন, ২০২০ সালে আমরা যখন করোনা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম, তখন থেকে এই পর্যায়ে এসে আমরা অনেক ভালো অবস্থায় আছি।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং মৃত্যু সর্বকালের মধ্যে সর্বনি¤œ অবস্থায় আছে। তবে যাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় সমস্যা আছে, তাদের আগে থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
তিনি বলেন, এখন গরমের সময়। লোকজন এয়ার কন্ডিশনিংয়ের জন্য ইনডোরে যাচ্ছে। আমরা আর মাস্ক পরছি না। এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ভাইরাস রূপান্তরিত হচ্ছে। তবে লোকজন আগের চেয়ে কম অসুস্থ হচ্ছে। এতে টিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত হচ্ছে।
রুশো বলেন, আমাদের টিকাগুলো নজিরবিহীনভাবে ভালো। এতে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়া, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিংবা আরো খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
জন্স হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব হেলথের তথ্যানুযায়ী, পুরনো ভ্যারিয়েন্টগুলোর জন্য প্রস্তুত টিকা দিয়ে নতুন স্ট্রেইনগুলো পরীক্ষা করা হয়নি।
ধারণা করা হয়, এসব টিকায় কিছু সুরক্ষা দেবে। তবে কয়েক মাসের মধ্যে বুস্টার গ্রহণ করা না হলে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।