শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

নিউইয়র্কে কষ্ট আর কষ্ট 

রাস্তায় কাটে  মানুষের বছরে  ১০০ ঘণ্টা

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৮ জুন ২০২৪

রাস্তায় কাটে  মানুষের বছরে  ১০০ ঘণ্টা

ছবি: সংগৃহীত

বিগ অ্যাপল হলো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় নগরী। তবে সেটা রাস্তায় আটকে থাকার দিক থেকে। টানা দ্বিতীয় বছরের মতো নিউইয়র্ক সিটি ড্রাইভারদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ ভিড়ে পূর্ণ নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখানে চালকরা গড়ে চার দিন রাস্তায় কাটায় আর এ জন্য নগরীর ব্যয় হয় ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

নিউইয়র্কের মেট্রো এলাকার চালকেরা গত বছর ট্রাফিক জ্যামে আটকে ছিলেন ১০১ ঘণ্টা। এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে পরিবহন সূচক প্রতিষ্ঠান ইনরিক্সের গ্লোবাল ট্রাফিক স্কোরকার্ডে।
৩৭টি দেশের ৯৪৭টি নগরীর ট্রাফিক জ্যাম, ব্যয় এবং পরিবহন ধারা বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বিগ অ্যাপল ২০২৩ সালে জ্যামের কারণে ৯.১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শিকার হয়েছিল, চালকপিছু ক্ষতি হয়েছিল ১,৭৬২ ডলার।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ‘ডাউনটাউনে’ গড় গতি থাকছে ঘণ্টায় মাত্র ১১ মাইল। চালকরা পিক আওয়ারে ঘণ্টা ১৫ মাইল বেগে এবং সকাল ও বিকেলের কিছুটা ফাঁকা সময়ে ঘণ্টায় ৩০ মাইল বেগে চলতে পারেন।
ইনরিক্সের পরিবহন বিশ্লেষক বব পিশু বলেন, ‘ট্রাফিক জ্যাম হলো অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের অভিশাপ এবং ব্যারোমিটার- উভয়েই। এটি একদিকে কর্মব্যস্ততার কথা বলে, একইসাথে কর্মতৎপরতাকে ব্যহতও করে। নগর এলাকায় ট্রাফিক জ্যাম বাড়া মানে করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পরস্থিতি চাঙ্গা হওয়ার প্রমাণ দিচ্ছে। তবে এটি চালকদের কোটি কোটি ডলারের সময়ও খেয়ে দিচ্ছে।’
অবশ্য, নিউইয়র্ক সিটি ২০২২ সালের জ্যামের অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতি ঘটিয়েছে। ওই সময় রাস্তায় যেত ১০৫ ঘণ্টা। আর ২০১৯ সালে যেত ১৪০ ঘণ্টা।
আর জ্যামের দিক থেকে ২০২৩ সালে খারাপ অবস্থায় থাকা শীর্ষ পাঁচ নগরীর অপর চারটি হচ্ছে মেক্সিকো সিটি, লন্ডন, প্যারিস ও শিকাগো।
আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটির পরে আছে শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস, বোস্টন ও মিয়ামি।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যস্ত করিডোর হচ্ছে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে অবস্থিত ১-৪ ডব্লিউ। বিচলাইন এক্সপেসওয়ে এবং ওয়েস্টান বেল্টওয়ের মধ্যকার রাস্তাটুকু পার হতে পিক আওয়ারে লাগে ৩১ ঘণ্টা। গত বছর এই রাস্তায় ব্যয় হয়েছিল  ১২৪ ঘণ্টা।
অন্যদিকে নিউইয়র্কের সবচেয়ে ব্যস্ত রাস্তা হলো চার মাইলের ব্রুকলিন-কুইন্স এক্সপ্রেসওয়ে (আই-২৭৮)।
 

শেয়ার করুন: