ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামসের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষাকারী এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সবার অগোচরে এক লাখ ৮০ হাজার ডলার বেতন নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বছরদুয়েক আগে নতুন সৃষ্ট একটি পদে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, জেসমিন শেফার্ড ২০২২ সালের নভেম্বরে ডিপার্টমেন্ট অব ইয়ুথ অ্যান্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট-এর ‘চিফ কমিউনিকেশন্স স্ট্র্যাটেজি অফিসার’ হিসেবে তাকে এক লাখ ৮০ হাজার ডলার বেতনে নিয়োগ করা হয়।
সিটি হল এই পদ সৃষ্টি কিংবা শেফার্ডের ওই পদে যোগদানের বিষয়টি কখনোই প্রকাশ করেনি।
অনলাইনে এই পদের অবস্থা এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি।
ডিওয়াইসিডির সাংগঠিক কাঠামো অনুযায়ী চিফ কমিউনিকেশন্স স্ট্র্যাটেজি অফিসারের দায়িত্ব হলো বিভাগের প্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে পরিচালনা করা।
শেফার্ড ইতোপূর্বে ইউএস টেনিস অ্যাসোসিয়েশনে করপোরেট কমিউনিকেশন্সে কাজ করতেন। সেখানকার প্রেস বিজ্ঞপ্তিগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত তার নাম দেখা যায়। তিনি অমুনাফামূলক ট্রে হোয়াইটফিল্ড ফাউন্ডেশনের বার্ষিক তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমের সাথেও জড়িত ছিলেন।
তার স্বামী তারিক শেফার্ডকে গত আগস্টে পুলিশ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অব পাবলিক ইনফরমেশন করা হয়েছিল। তিনি মেয়র অ্যাডামসের অত্যন্ত বিশ্বস্ত লোক হিসেবে পরিচিত। তার বেতন বছরে দুই লাখ ৪০ হাজার ডলার।
জেসমিন শেফার্ড যে পদটিতে এখন আছেন, ওই পদে ইতোপূর্বে কাউকে নিয়োগ করা হয়নি বলেই জানা গেছে। এর আগে মাইকেল ডেটচাস প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেফার্ডকে নিয়োগের আগে তিনি ওই পদ ছেড়ে যান। ওই পদের কাজ ছিল তথ্য ও আইটি ব্যবস্থাপনা।
এ ব্যাপারে ডিওয়াইসিডি কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
তবে সিটি হলের মুখপাত্র লিজ গার্সিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জেসমিন শেফার্ড স্যাটারডে নাইট লাইটস, সামার ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম, সামার রাইজিংয়ের মতো অনুষ্ঠানের বর্ধিত মিডিয়া কভারেজে কাজ করেন।
তবে তাকে কিভাবে নিয়োগ করা হলো, সে প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি। তাছাড়া কেন এই পদ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলো, সে ব্যাপারেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে তারিক শেফার্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কেন তার স্ত্রীকে নিয়োগ করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাব দেননি। তবে তিনি বলেছেন, ‘কারো খালি করা পদে তিনি আবেদন করেছিলেন।’
উল্লেখ্য, মেয়র অ্যাডামসের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তারিক শেফার্ডের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। তিনি মাত্র ১৮ মাসে ক্যাপ্টেন থেকে ডেপুটি ইন্সপেক্টর এবং তারপর ডেপুটি কমিশনার হয়েছেন।