বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৫

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

বিলে সই নিউইয়র্ক গভর্নর হোকুলের

গ্যাস ও কয়লা কোম্পানির ওপর ৭৫ বিলিয়ন ডলার মাসুল ধার্য

নবযুগ ডেস্ক 

প্রকাশিত: ০১:১৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

গ্যাস ও কয়লা কোম্পানির ওপর ৭৫ বিলিয়ন ডলার মাসুল ধার্য

প্রতীকী ছবি

কার্বন নির্গমগন এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার অভিযোগে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লা কোম্পানির ওপর ৭৫ বিলিয়ন ডলার মাসুধ ধার্য করে একটি বিলে সই করেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল।

তবে সমালোচকেরা বলছেন, আইনটি কাজ করবে না। তাদের মতে, আদালতে আইনটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং এতে কেবল ক্রেতাদেরই পকেট থেকে আরো কিছু পয়সা যাবে।
গভর্নরের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে নিউ ইয়র্ক স্টেট বিজনেস কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেন পোকালস্কি বলেন, ‘এ নিয়ে আপনি নিউ ইয়র্কে জ্বালানি বিক্রি করা ছাড়া আর কী করবেন?’
তবে আইনটির পক্ষে থাকা লোকজন মনে করছেন, বিষাক্ত বর্জ্য ত্যাগকারীদের জব্দ করতে ফেডারেল আইনের আলোকেই তা করা হয়েছে। ২৪ বছরের মাসুল উপকূল রক্ষা এবং বন্যা প্রশমন প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
আর গভর্নর হোকুল বলেন, এই বিল বড় ূষণকারীরে কাছ থেকে ৭৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করবে।
তিনি বলেন, নিউইয়র্কের পরিবেশে এক বিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য জ্বালানি কোম্পানিগুলো দায়ী।
তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই নিউ ইয়র্কের লোকজন জলবায়ু সংকটের ায়ভার বহন করেছে। এখন পেট্রো ক্যামিক্যাল কোম্পানিগুলোকে াম পরিশোধ করতে হবে।
বিলটির স্পন্সর স্টেট সিনেটর লিজ ক্রুগনার, অ্যাসেম্বলিম্যান জেফ্রে ডিনোউটজের বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিদেশি মালিকানাধীন এবং আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে দেড় দশক ধরে বছরে তিন বিলিয়ন ডলার দিতে হবে।
তবে সবচেয়ে বেশি দিতে হবে সৌদি ওয়েল জায়ান্ট আরামকোকে। তাদেরকে বছরে ৬৪০০ মিলিয়ন ডলার করে দিতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ থেকে ২০২০ সময়কালে ৩১,২৬৯ মিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে থাকে। এই কোম্পানিটির মালিক সৌদি রাজ পরিবার।
আর মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোলেয়স মেক্সিকানোস বা পেমেক্স ৯,৫১২ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের কারণে বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার দেবে।
মোট ৩৮টি কোম্পানিকে কার্বন ূষণ সৃষ্টিকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এরে মধ্যে আমেরিকান পেট্রো জায়ান্ট এক্সন, শেফরন, ব্রিটেনের শেল, বিপি, ফ্রান্সের আইইএস, ব্রাজিলের পেট্রোবরাস, অস্ট্রেলিযার বিএইচপি, সুইজারল্যান্ডের গ্লেনকোর, নরওয়ের ইকুইনর, ইতালির ইএনআইও রয়েছে।
তবে এসব প্রতিষ্ঠান নতুন আইনের বিরোধিতা করেছে। তারা বিলটিতে ভেটো প্রদান করার জন্য গভর্নরের কাছে ৫ ডিসেম্বর আবেদন জানিয়েছিল।

শেয়ার করুন: