ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি করার লক্ষ্যে প্রণীত ব্যাপকভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চলতি বছর নিউইয়র্কের স্কুলগুলোতে সেলফোনের ব্যবহার সীমিত করতে যাচ্ছেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল। গভর্নরের স্টেট অব দি স্টেটের বক্তৃতায় স্কুলে সেলফোন ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করেন। তবে তার এই উদ্যোগ ছিল প্রত্যাশিতই। কয়েক মাস ধরেই তিনি শিক্ষার্থীদের সেলফোন ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। তিনি বলছিলেন যে স্কুলে ফোন ব্যবহার করার ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
অবশ্য, ঠিক কীভাবে শিক্ষার্থীদের স্কুলে সেলফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। সম্ভবত চলতি মাসের শেষ দিকে তার নির্বাহী বাজেটে এই নীতিমালা স্থান পাবে।
গভর্নরের স্টেট অব দি স্টেট ভাষণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে অর্থনীতি। তিনি বলেন, ‘অনেক নিউ ইয়র্কার কষ্টে আছে। মুদ্রাস্ফীতি, উচ্চ বাড়িভাড়া ইত্যাদি কারণে তারা কঠিন সময় পার করছে।’
তিনি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য কলের পর্যায়ের সুযোগ সৃষ্টির কথা বলেছেন তার ভাষণে।
তিনি ‘বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত ক্ষতিকর এআই বটের’ বিপদ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মানবসঙ্গীর মতো মডেলগুলো ব্যবহারকারীকে প্রযুক্তির সাথে অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গঠনের দিকে ঠেলে দেয়। এতে করে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা বাড়ে, তরুণদের মধ্যে একাকিত্ব সৃষ্টি হয়।
তিনি নিরাপদ ফিচার বাস্তবায়ন করার জন্য এআই কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করার আইন করার প্রস্তাবও করেন।
এছাড়া তিনি তরুণদের মধ্যে মিডিয়া লিটারেসি দক্ষতা বাড়ানো এবং ভুল তথ্য থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের রাজ্য শাখাকে শিক্ষকদের জন্য নির্দেশিকা তৈরীর নির্দেশনা দেন।
ভাষণে হোকুল চাইল্ড কেয়ার সেন্টার নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ১১০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করার কথাও ঘোষণা করেন।
শিশুরা যাতে এক্সটা কারিকুলাম, বিনোদন ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়াতে পারে, সেজন্য তিনি নতুন নতুন খেলার মাঠ এবং সুযোগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন হোকুল।
তিনি বলেন, ‘শিশুদেরকে সত্যিকারভাবে সামাজিক মাধ্যম থেকে মুক্ত রাখতে আমাদেরকে অবশ্যই তাদেরকে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। এটা ¯্রফে সাধারণ বিবেচনার কথা।’