
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর ডিমের দাম রেকর্ড ৪০ ভাগের বেশি বাড়তে পারে বলে কৃষি বিভাগ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বার্ড ফ্লু প্রতিরোধ এবং ডিমের দাম কমানো নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করার প্রেক্ষাপটে এই আশঙ্কা প্রকাশিত হলো।
খামারগুলোতে বায়োসিকিউরিটি জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে কৃষিসচিব ব্রুক রলিনস জানান, ২০২২ সালে বার্ড ফ্লু দেখা দেওয়ার পর ব্যয় হওয়া দুই বিলিয়ন ডলারের সাথে আরো এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইউএসডিএ। তবে এই পরিকল্পনার মাধ্যমে খামারিরা ভাইরাসটি থেকে কতটুকু মুক্তি পাবে, তা নিশ্চিত নয়।
মুরগির খামারিরা বার্ড ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে শ্রমিকদের খামারে প্রবেশের আগে পোশাক বদল ও গোসল করা বাধ্যতামূলক করেছে। তাছাড়া আলাদা আলাদা সরঞ্জাম ব্যবহার করছে, যেকোনো যানবাহন খামারে প্রবেশ করার আগে সেটিকে জীবাণুমুক্ত করা নিশ্চিত করছে।
তবে এখন যে চ্যালেঞ্জটি রয়ে গেছে তা হলো বুনো পাখিদের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো।
বার্ড ফ্লু ঠেকাতে ১৬৬ মিলিয়নের বেশি মুরগিকে মেরে ফেলার প্রেক্ষাপটে চলতি মাসে প্রতি ডজন ডিমের দাম গড়ে ৪.৯৫ ডলার করে বেড়েছে। মেরে ফেলা মুরগির বেশির ভাগই ডিম পারা মুরগি।
গত মাসে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডিম পারা মুরগি মারা হয়েছে।
মুরগি কমে যাওয়ায় ডিমের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর রেশ ধরে ডিমের দাম বাড়ছে। গত মাসেই বলা হয়েছিল যে ডিমের দাম ২০ ভাগ বাড়তে পারে।
ডিমের দাম বাড়ার প্রভাব ক্রেতা ও রেস্তোরাঁতে পড়েছে। ডেনিস ও ওয়াফল হাউসের মতো রেস্তোরাঁগুলো ইতোমধ্যেই ডিম-সংশ্লিষ্ট ডিশগুলোতে সারচার্জ যোগ করেছে।