
ছবি: সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার তথাকথিত ‘পারস্পরিক’ শুল্কের বেশির ভাগ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার কথা ঘোষণা করার পর মার্কিন স্টক মার্কেট বিপুলভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে। ট্রাম্প বুধবার চীন ছাড়া বাকি সব দেশের জন্যও ওই ঘোষণাটি দেন। চীনাদের ‘শ্রদ্ধার অভাবে’ তিনি তাদের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোস্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করতে চেষ্টাকারী ৭৫টিরও বেশি দেশের ওপর কঠোর শুল্ক স্থগিত করার ঘোষণার পর ডো জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ২,৯৬২.৮৬ বা ৭.৯ শতাংশ ঊর্ধ্বলম্ফ ঘটিয়ে এক দিনের সর্বোচ্চ পয়েন্ট রেকর্ড করে ৪০,৬০৮.৪৫-এর কাছাকাছি ওঠে এসেছে।
বুধবার সকালেও যেখানে শেয়ারবাজারে পতন দেখা যাচ্ছিল, সেখানে ট্রাম্পের ঘোষণার পর এসঅ্যান্ডপি প্রায় ১০ শতাংশ, নাসদাক ১০০ ঊর্ধ্বলম্ফ দেয় ১২ শতাংশের বেশি।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পাল্টা হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর চীন ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে শেয়ারবাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
কিন্তু ট্রাম্পের ঘোষণার প্রেক্ষাপটে স্ট্যানফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক পলিসি রিসার্চের অ্যালেন সাইকিস বলেন, ‘আমি মনে করি সূচনাতেই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ সদস্যের জন্য ব্যাপক আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ আসলে ছিল একটি আলোচনার কৌশল। কার্যত তিনি আলোচনা করে কমাতে আগ্রহী ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প নির্দিষ্ট বিষয়ে অবস্থান বদলাচ্ছেন। একই সময় তিনি চীনা অবস্থান জানছেন।’
অথচ, ট্রাম্প যখন পারস্পরিক শুল্কের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন ডো প্রায় ৫,০০০ পয়েন্ট হারিয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা আবার মুদ্রাস্ফীতি এবং এমনকি মন্দার শঙ্কা পর্যন্ত প্রকাশ করছিলেন। বিশেষ করে চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের ফলে বড় বড় কোম্পানি পর্যন্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল।
তবে চীনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন ট্রাম্প। তিনি বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে এক পোস্টে লেখেন, ‘বিশ্ব বাজারের প্রতি চীনের অশ্রদ্ধার কারণে আমি চীনের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিলাম। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশা করি, চীন অদূর ভবিষ্যতে বুঝতে পারবে যে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের সাথে প্রতারণা করাটা আর টিকবে না।’